২০২৫ সালের ঈদুল ফিতর। প্রচণ্ড ব্যস্ততা, আলোয় ঝলমলে শহর, নতুন জামাকাপড়, সুগন্ধি, সেমাইয়ের ঘ্রাণে ভরে থাকা প্রতিটি অলি-গলি যেন একেকটা আনন্দময় গল্প। কিন্তু সমাজের একাংশের জন্য এই উৎসবটা ঠিক ততটা রঙিন নয়। তাদের জীবনের ক্যানভাসটা এখনো রঙ তুলির স্পর্শের অপেক্ষায়।
ঠিক এই জায়গা থেকেই শুরু হয়েছিল ন্যাচারালস বাই রাখির এক অন্যরকম পথচলা—‘ন্যাচারালস কেয়ার ক্লাব’। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়, যখন এই ক্লাবটি যাত্রা শুরু করেছিল, তখন একটি স্বপ্ন ছিল ভালোবাসা ভাগাভাগি করার, পাশে দাঁড়ানোর, হাসি ফোটানোর। একটি অঙ্গীকার ছিল প্রতি মাসে অন্তত একটি সামাজিক উদ্যোগ নেওয়ার।
আর সেই অঙ্গীকার, সেই দায়বদ্ধতা থেকে ২০২৫ সালের এই ঈদেও থেমে থাকেনি ন্যাচারালস বাই রাখি।ঈদ মানেই খুশির উৎসব, ঈদ মানেই একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া। ঠিক সেখান থেকেই ন্যাচারালস বাই রাখি কেয়ার ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবীরা বেরিয়ে পড়েছিল বাজারের থলে হাতে। ৭০ টিরও বেশি পরিবারের হাতে ঈদের বাজার তুলে দিতে যাতে ছিলো দুধ, সেমাই, চিনি, কাজু-কিসমিস, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ছাড়াও আরও কত কি আর সেই সাথে ন্যাচারালস বাই রাখি’র অসংখ্য ভালোবাসা।
এই উদ্যোগ শুধু কিছু জিনিস পৌঁছে দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এটা ছিল এক গভীর মানবিক স্পর্শ, ভালোবাসার এক ছোট্ট প্রচেষ্টা যা হয়তো কারো ঈদটাকে আরেকটু আনন্দের করে তুলেছে।
আমরা বিশ্বাস করি, যতক্ষণ একজন মানুষ হাসতে পারে, ততক্ষণ এই পথচলার কোনো শেষ নেই। ন্যাচারালস কেয়ার ক্লাবের এই মানবিক যাত্রা চলতেই থাকবে—নতুন করে, আরও আন্তরিকতায়।
আপনারাও পাশে থাকুন। ভালোবাসা ছড়িয়ে দিন। কারণ প্রকৃত আনন্দই ভালোবাসা ভাগাভাগি করে নেওয়ার মধ্যে।